মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার মূল্যবৃদ্ধির কোপে জর্জরিত হয়েছে আমজনতা। এবারও বজায় রইল সেই ধারা। আমদানি শুল্ক ফের বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেটেও সেরকমই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সরকারি সূত্রে অন্তত সেরকমই জানা যাচ্ছে। যে উপকরণ, উপাদান, কাঁচামাল এবং পণ্যগুলির আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, গ্লসি পেপার, সোনার গহনা, প্লাস্টিক, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি কিছু কিছু ওষুধ। সাধারণত এত বছর ধরে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির তালিকায় নন এসেনশিয়াল ক্যাটিগরির আওতায় থাকা পণ্যকেই বেশি রাখা হয়েছে। কিন্তু এবার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও বাড়ানো হবে এই শুল্ক।
উল্লেখ্য, এই আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কারণ হিসেবে মুখে বলা হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারতের কথা। অর্থাৎ যাতে ভারতে উৎপাদিত পণ্য আরও বেশি করে ক্রয়বিক্রয় হয়। দেশীয় পণ্য ও কাঁচামালের চাহিদা যাতে বেশি বৃদ্ধি হয়। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। আর বিদেশ থেকে আমদানির প্রবণতা কমে গেলে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্য, কাঁচামাল, উপাদানের জোগানে টান পড়বে। সেক্ষেত্রে আরও বেশি করে উৎপাদনের সুযোগ পাবে সংশ্লিষ্ট সেক্টর। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের বাজেটেও এই পণ্য ও উপকরণের মধ্যে কয়েকটির আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। এবার আবার একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। দেশীয় শিল্পের জোগান সামগ্রিক চাহিদা এখনই মেটাতে সক্ষম হবে না। সুতরাং চাহিদা মেটাতে আমদানি করতেই হবে। ফলত চড়চড়িয়ে বাড়বে দাম।