বুধবার বিধানসভায় ফের একবার মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, ‘ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, অপশন মাত্র।’ পাশাপাশি তাঁদের এও মনে করিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বছরে বাড়তি ছুটি পান। এমনকী, তাঁদের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকার কী কী করেছেন, এদিন বিধানসভায় তার খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২ বছরে ২ লক্ষ ৫২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছি। নতুন পে কমিশনের হিসেবে ডিএ দেওয়া হয়েছে।’ সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, ‘মহার্ঘ ভাতা কিন্তু ম্যান্ডেটরি নয়, এটা অপশন।’ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বারবার অভিযোগ করে থাকেন, কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিচ্ছে। অথচ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এর চেয়ে অনেক কম হারে ডিএ পান। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের কর্মচারীরা কেন্দ্রের স্ট্রাকচার অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন, ডিএ পায়। কেউ চাইলে (কেন্দ্র সরকার) ওখানে জয়েন করতে পারে।’
এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘ভুলে গিয়েছেন, বছরে তাঁরা ৩-৪ দিন বাড়তি ছুটি পান। আমাদের এখানে যে ৪০ দিন ছুটি পান, এটারও তো ভ্যালু অ্যাড করতে হবে। এই সরকারই একমাত্র বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’ সরকারি কর্মচারীদের যে পেনশনও দেয় রাজ্য সরকার, সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন, ‘একমাত্র রাজ্য বাংলা, যারা সরকারি কর্মচারীদের পেনশন দেয়। অনেকে বলেছে বন্ধ করে দাও তাহলে সুদের টাকার পরিমাণ কমে যাবে। আমি বলেছি না, একটা জীবন ৬০ বছরের নয়, আরও ২০-৩০ বছর মানুষ বাঁচে। তাঁরা সংসার চালাবেন কীভাবে?’