হঠাৎই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুর স্টেশনে। জনৈক ব্যক্তিকে দেখা মাত্রই প্রকাশ্যে চটি পেটা করলেন মহিলা! জানা গিয়েছে, তিনি বিজেপি কর্মী। উত্তেজিত মহিলার হাত থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন জিআরপি ও আরপিএফ কর্মীরা। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল তৈরি হয় দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে। বুধবার সকালে স্টেশন চত্বরে ঠাসা ভিড়। তখনই প্ল্যাটফর্মের এক কোণায় উত্তেজনা ছড়ায়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে ছুটে যান কয়েকজন। ততক্ষণে এক মহিলার পায়ের চটি খুলে মাঝবয়সী এক ব্যক্তিকে জুতোপেটা করছেন। এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায়। প্রথমটায় যাত্রীরা ব্যাপারটা বুঝতেই পারছিলেন না। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভাবছিলেন, হয়তো শ্লীলতহানি বা অন্য কিছু ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। মহিলাকে প্রতিহত করারও চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু প্রবলভাবে মারমুখী ছিলেন। তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেল পুলিশ। তাথা জানতে পারে, এই মহিলার নাম আলপনা সেন। যাঁকে মারা হচ্ছিল তাঁর নাম অবনী মণ্ডল। আলপনা রানিগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে বিশেষ ট্রেনে অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ছেলের চাকরির জন্য বছর দুয়েক আগে টাকা দিলেও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ মহিলার। প্রায় এক বছর খোঁজ পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত ব্যক্তির। অনেক বার ফোন করেছেন, কিন্তু অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি বলে দাবি মহিলার। ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দেখতে পান আলপনা সেন। চুপচাপ তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন, কিছুটা হকচকিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর পায়ের জুতো খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্তকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা। মহিলার হাত থেকে বাঁচতে ওই ব্যক্তি ছুটতে শুরু করেন। কোনও ক্রমে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় রেল পুলিশ।