এখনও কাটেনি স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যমৃত্যুর রেশ। তার মধ্যেই ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে নেমে এল র্যাগিংয়ের কালো ছায়া। অভিযোগ তুলে নাম গোপন রেখে কর্তৃপক্ষকে ই-মেইল করেছেন এক পড়ুয়া। তিনি ই-মেইলে লিখেছেন, “হস্টেলে থাকতে নিরাপদ বোধ করছি না। এভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব নয়।” তবে তিনি নিজের নাম গোপন রেখেছেন। স্বপ্নমৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক সব তথ্য সামনে আসে। উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও কড়া হয় একাধিক পদক্ষেপ। যা নিয়ে কার্যত সমান্তরালভাবে দ্বিধাবিভক্ত হতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। কিন্তু তারপরও যে পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি, এই ই-মেইল তা প্রমাণ করে দিল।
সূত্র অনুযায়ী, সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেল মারফত একটি অভিযোগ গিয়েছে। ওই পড়ুয়া র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাঁর নাম নিরাপত্তার স্বার্থে গোপন রেখেছেন তিনি। তবে জানা গিয়েছে, তিনি দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তিনি ইতিমধ্যেই হস্টেল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে থাকছেন। এই ইমেলের ভিত্তিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে অগস্ট মাসে তোলপাড় হয়ে ওঠে বাংলা। হস্টলের নীচ থেকে তাঁর বিবস্ত্র নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর র্যাগিংয়ের নামে হস্টেলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের একাধিক অভিযোগে বেআব্রু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। হস্তক্ষেপ করেন রাজ্যপালও। র্যাগিং রুখতে নয়া প্রযুক্তির সন্ধানে ডাকা হয় ইসরো প্রতিনিধিদেরও। পুলিশি তদন্তে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হন। মামলা এখনও বিচারাধীন। তারমধ্যেই আবারও এই অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন।