রবিবার ভোর রাতে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা-বারকোটে জাতীয় সড়কের উপরে একটি নির্মীয়মান সুরঙ্গের মুখ ধসে পড়ে। যার ফলে ভিতরে আটকে যান কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। এখনও পর্যন্ত তাঁদের উদ্ধার করা তো সম্ভব হয়ইনি, বরং থেমে গেল উদ্ধার কাজই। শুক্রবার দুপুরে খননযন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর সরানোর সময় জোরে ফাটল ধরার শব্দ পান উদ্ধারকারীরা। তার পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারীদের ধারণা, সুড়ঙ্গের ভিতরে আরও একটি ধস নেমেছে। উদ্ধারকাজ চালিয়ে নিয়ে গেলে আরও ধস নামতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের কী ভাবে উদ্ধার করা হবে, তা ঠিক করতে বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও।
‘ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘শুক্রবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট নাগাদ উদ্ধারকাজ চলার সময় উদ্ধারকারী দল এবং কর্মকর্তারা একটি বড় ফাটল ধরার শব্দ শুনতে পান। সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো দলগুলির মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। আরও ধস নামার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’ শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ভাঙা সুড়ঙ্গে ধসে যাওয়া পাথরে ছিদ্র করে তিন ফুটেরও কম দৈর্ঘ্যের একটি পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বার করে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। আপাতত সেই কাজও বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএইচআইডিসিএল। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধার করতে ৬০ মিটার পর্যন্ত গর্ত তৈরি করতে হবে। এর পর সেই গর্তে ৮০০ এবং ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের একটি পাইপ ঢুকিয়ে তার মধ্যে দিয়ে বার করে আনা হবে শ্রমিকদের।