ছট পুজো উপলক্ষে প্রতি বছরই জল দূষণ হয় রবীন্দ্র সরোবরে। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল তাই সরোবরের ভিতরে ছট পুজো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। রবীন্দ্র সরোবরের পাশাপাশি সুভাষ সরোবরেও রবি ও সোমবার সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে শহরের এই দুই সরোবর। ব্যারিকেড ভেঙে কেউ যাতে না সরোবরে নেমে পড়ে, কোনও বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেদিকে নজর রাখতে শনিবার থেকেই শহরের রাস্তায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ছট পুজোকে কেন্দ্র করে শহর কলকাতায় নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন প্রায় ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর তথা ঢাকুরিয়া লেক ও পূর্ব কলকাতার ফুলবাগান এলাকার সুভাষ সরোবরে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অতীতে ব্যারিকেড টপকে ছট পুজোয় অনেককে সরোবরে নামতে দেখা গিয়েছিল। বিশৃঙ্খলার ঘটনাও ঘটে। কেউ যাতে এবারে বিধি ভাঙতে না পারেন, সেজন্য শনিবার থেকেই দুই সরোবর ঘিরে থাকবে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার মোট ১৩৩টি গঙ্গার ঘাট, ছোট পুকুর, তৈরি হওয়া জলাধারে ছট পুজো অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঘাট বা সরোবরের চারপাশে একজন করে ডিসির তত্ত্বাবধানে থাকবেন আড়াইশো পুলিশ কর্মী। এছাড়াও শহরের রাস্তায় বাড়তি নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার ৩৫ জন পুলিশকর্তা। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে পুলিশি নজরদারি। নিষিদ্ধ শব্দবাজি এবং ডিজে যাতে না বাজানো হয়, সেদিকেও নজর রাখবে পুলিশ।
অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘পুরনিগম থেকে কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। টেম্পোরারি ঘাট ও পার্মানেন্ট ঘাট-সহ সব জায়গাতেই টিম প্রস্তুত রাখা হবে। পুলিশকেও সেটা দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।’ রবীন্দ্র সরোবরের ১২টি গেটে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে গেটগুলিতে হোডিং বোর্ড এবং ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুভাষ সরোবরের আশপাশে টিনের অস্থায়ী শেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।