বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়লেন আসামের রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়া। অএবার রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ানো জনৈক পদ্ম-প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে দেখা গেল তাঁকে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যপালকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। এই বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির আসাম ইউনিট। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে রাজ্যপালের দফতর কিংবা রাজ্যপাল কাটারিয়ার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। চলতি নভেম্বরের শেষে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে। আর সে রাজ্যের এক বিজেপি প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ জানিয়ে পৃথক পৃথকভাবে বিবৃতি প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়ার বিরুদ্ধে আসামের তৃণমূল ও আপ সংগঠন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ইতিমধ্যেই।
এপ্রসঙ্গে আসামের তৃণমূল সভাপতি রিপুন বোরা নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “রাজস্থানের উদয়পুরে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত আসামের রাজ্যপাল গুলাব চাঁদ কাটারিয়া। গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।” রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়া সত্ত্বেও কাটারিয়ার বিজেপির হয়ে প্রচার করাকে ‘অত্যন্ত লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন আসামের তৃণমূল সভাপতি। বোরা সাফ জানিয়েছেন, “অবিলম্বে তাঁকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।” আসাম তৃণমূলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল কাটারিয়া উদয়পুরের বিজেপি প্রার্থী তারাচান জৈনের জন্য নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন, যা একজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর জন্য নির্বাচনী নিয়মবিরুদ্ধ। তবে শুধু কাটারিয়াই নয়, এর আগে আসাম বিধানসভার ডেপুটি স্পীকার নুমাল মোমিনও যে মিজোরামে বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচার করেছেন, তৃণমূলের বিবৃতিতে জানা গিয়েছে এমনটাই।