চলতি বছরের ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে প্রাণ হারান তিনি। সেই ঘটনার নেপথ্যে র্যাগিং রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই তদন্তে উঠে এসেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার মারাত্মক র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল খড়গপুর আইআইটিতে। সেখানে জুনিয়র ছাত্রদের সারারাত ধরে নাচতে বাধ্য করলেন সিনিয়ররা। শুধু তাই নয়, সারারাত ধরে তাঁদের খেলতে বাধ্য করা হল। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় খড়গপুর কর্তৃপক্ষের তরফে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের কথা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর এক ছাত্র ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং হেল্পলাইনে ফোন করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ, কিছু সিনিয়র ছাত্র দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রদের রাতভর নাচতে এবং খেলতে বাধ্য করেছেন। যার ফলে ওই পড়ুয়ারা রীতিমত আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁরা পড়াশোনা করতে পারছেন না। এরপরেই ইউজিসির তরফে দ্রুত আইআইটি কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই আইআইটি খড়গপুরের সিনিয়র নিরাপত্তা অফিসার প্রমোদ কুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, র্যাগিংয়ের শিকার পড়ুয়ারা দাবি করেছেন, যে তাঁরা পড়াশোনা করতে পারছেন না।
এই ঘটনায় আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অ্যান্টি র্যাগিং আইন এবং নির্দিষ্ট ধারার অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশকে গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত করতে অনুরোধ করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। খড়গপুর আইআইটি তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর ভি কে তেওয়ারি বিদেশ ভ্রমণে রয়েছেন। খড়গপুর টাউন থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমরা আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। র্যাগিং সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’ সে ক্ষেত্রে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারার অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।