প্রতি বছরের মতো এবারও ভাইফোঁটার দিন ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভিড় জমালেন দলের অনেকেই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এবারও দেখা গেল কালীঘাটের বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই মুহূর্তে তাঁরা সক্রিয় রাজনীতিতে না থাকলেও যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন, এই বার্তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন শোভন। সাফ জানালেন, ‘মমতাদির বিরুদ্ধে চক্রান্ত হলে কলিজা দিয়ে রক্ষা করব।’
বুধবার সকাল সকাল কালীঘাটে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, ডেরেক ও ব্রায়েন, শান্তনু সেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের ফোঁটা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সকলের মাঝে নজর কাড়ল শোভন-বৈশাখীর উপস্থিতি। প্রতি বছরই এই দিনে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখানে আসা বাধাধরা ব্যাপার। মাঝে অবশ্য এতে ভাঁটা পড়েছিল। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র। দলে প্রত্যাবর্তনের পর আবার ভাইফোঁটায় দিদির বাড়ি যাওয়া নিয়মে এসে দাঁড়িয়েছে। এবছরও তিনি গেলেন ভাইফোঁটা নিতে। স্নেহের ‘কানন’কে ফোঁটা দিলেন মমতা। কপালে চন্দনের টিপ পরালেন বৈশাখীকেও।
উপহার বিনিময়, গল্পগুজবের পর সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বারবারই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি মমতার পাশে আছেন, থাকবেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের সৈনিকদের আঘাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে শোভনের বার্তা, ‘মমতাদির বিরুদ্ধে চক্রান্ত হলে, আমার মতো বাংলার বহু মানুষ নিজেদের কলিজা দিয়ে সব কিছুকে রক্ষা করবে। পরিকল্পিতভাবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার প্রভূত ক্ষতি হবে। মমতাদি পশ্চিমবঙ্গের উপর বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে রেখেছেন। এই ছায়া যাতে কেউ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, তার জন্য আমি সবসময় তৈরি ছিলাম, এখনও আছি।’