বুধবার উত্তরপ্রদেশে নয়াদিল্লি-দ্বারভাঙা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে আগুন লেগে জখম হয়েছিলেন বেশ কিছু যাত্রী। সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে দিল্লি-সহরসা বৈশালী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হলেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে রেলওয়ের সিও উদয় শঙ্কর বলেন, ‘ট্রেনটি দিল্লি থেকে বিহারের সহরসায় যাচ্ছিল। সেইসময় রাত আড়াইটে নাগাদ প্যান্ট্রি কারের কাছে এস৬ নম্বর কোচে হঠাৎ আগুন লাগে। তবে কীভাবে ওই মাঝরাতে ট্রেনের মধ্যে আগুন লাগল, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ঘটনার পরই সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন এসে জল ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
উদয় শঙ্কর বলেন, ‘এই আগুন লেগে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। কেন আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে’। তবে একইদিনে পরপর দু’বার চলন্ত ট্রেনের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, আগুন লেগে ধোঁয়ায় একেবারে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কোচের ভিতর। অনেকেই তার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় পড়েন। সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণে ১১ জনকে পিজিআই-তে রেফার করা হয়েছে। বাকি আরও ৮-৯ জন আগুনে দগ্ধ হয়েছেন। শঙ্কর জানান, তাঁদেরকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।