সামনেই দেশে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। আর তার আগে আদিবাসী-জনজাতি ভোটই যে আসল লক্ষ্য জাতীয় স্তরে সেই বার্তা দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এই আবহেই ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বঞ্চিত আদিবাসীরা’— এমন বার্তা দিতে চলেছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত রাজ্যে আদিবাসীদের বঞ্চনা নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে আদিবাসীদের অপমান করেছেন তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি শিবির৷ পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূলও। বিরুদ্ধ প্রচার সামলে পঞ্চায়েত ভোটেও জঙ্গলমহলের আদিবাসী এলাকায় নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে পেরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
উল্লেখ্য, এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে কুড়মিদের জাতিসত্তার আন্দোলন, কুড়মি-আদিবাসী ভাগাভাগির অভিযোগ ঘিরে কিছুটা শঙ্কায় ছিল শাসক শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত বিরোধীশূন্য করে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ পেয়েছে তৃণমূল। ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির সব ক’টি ও বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ তারাই। একই রকম ভাবে উত্তরের একাধিক জেলাতেও ভাল ফল করেছে তৃণমূল।
মমতা বারবার বুঝিয়েছেন, আদিবাসী-জনজাতি, কুড়মি-সহ গোটা জঙ্গলমহলই তাঁর বিশেষ প্রিয়। কুড়মিদের দাবি মেনে এ বার পঞ্চায়েত ভোটের পরই করম পরবের পূর্ণ ছুটি ঘোষণা করেন তিনি। আদিবাসীদের জন্যও একগুচ্ছ ঘোষণা করেছেন। ফলে আদিবাসী ও কুড়মি দুই সম্প্রদায়ের ভোটই যে লোকসভা তৃণমূলের ঝুলিতেই ঢুকবে, তা নিয়ে আশাবাদী শাসক শিবির।