এই মোদী জমানাতেই কেন্দ্রীয় অনুদানে চলা একটি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক বছর আগে রাজ্যে কাজ হারান মাটি পরীক্ষার শতাধিক কর্মী। তাঁরা রাজ্যের কৃষি দফতরে চুক্তিতে নিযুক্ত ছিলেন। এবার তাঁদের অন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করে কাজে ফেরানোর ব্যবস্থা করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে রাজ্যে ফের মাটি পরীক্ষার কাজে গতি আসবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় প্রকল্পটি বন্ধ হওয়ার পর কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে কৃষিজমির মাটি পরীক্ষার কাজ করাতে হচ্ছিল। এবার বিভিন্ন জেলায় কৃষিদফতরের নিজস্ব ১৮টি ল্যাব এই কাজে পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে। আরকেভিওয়াই নামে অন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যে। চুক্তিতে নিযুক্ত চাকরি হারানো কর্মীদের ফের এই কাজে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল মিশন ফর সাস্টেনেবল এগ্রিকালচার নামে একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে চুক্তিতে নিযুক্ত ১৩৩ জন কর্মী কৃষিজমির মাটি পরীক্ষার কাজে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত। রসায়ন অথবা কৃষিতে স্নাতক, এমনকী স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও আছে কারও কারও। কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে চলা এই প্রকল্পের অধীনে ১৮টি ল্যাবরেটরি তৈরি করা হয়। কিন্তু ২০২০-২১ সাল নাগাদ প্রকল্পটি কেন্দ্র বন্ধ করে দিলে তৈরি হয় সমস্যা।
মাটি পরীক্ষার কাজ অনেকটাই থমকে যাওয়ার পাশাপাশি চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীরা কাজ হারান। রাজ্যের কৃষিদফতর বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এদের ফের কাজে ফেরানোর জন্য। অবশেষে সেই প্রচেষ্টা সফল হতে চলেছে। আরকেভিওয়াল প্রকল্পেই পুরাতন কর্মীদের কাজে ফেরানো হচ্ছে। ইচ্ছুক প্রাক্তন কর্মীরা যোগ দেওয়ার পর প্রয়োজন থাকলে নতুন কর্মী নিতে বলা হয়েছে। ১১ হাজার টাকা মাসিক বেতনে এই কর্মীরা কাজ করবেন।
কৃষি দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, কারও চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনা খুব খারাপ। কেন্দ্র সরকার এই বিষয়ে মাথা না ঘামালেও রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে ছিল। পুরাতন কর্মীদের যাতে দ্রুত কাজে ফেরানো যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই চেষ্টাই এবার দিনের আলোর মুখ দেখতে চলেছে।