এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি। এই ধাক্কা লাগতেই প্রতিবাদ জানান বিচারপতির গাড়ির চালক। তখন তাঁকে সপাটে ‘চড়’ মারেন বিধায়কের গাড়ির চালক বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল কালিকাপুর এলাকায়। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী–সহ তিনজনের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। ভাঙড়ের বিধায়কের চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্য–রাজনীতিতে জয়নগর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তখন তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। বাধ্য হয়ে কলকাতা ফিরতে হয় বিধায়ককে। আর ফেরার পথে ইএম বাইপাসের কালিকাপুর এলাকায় বিচারপতি চন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে ধাক্কা মারে নওশাদের গাড়ি বলে অভিযোগ।
এদিকে দুটি গাড়ির রেষারেষি চলছিল বলে সূত্রের খবর। তার জেরেই ধাক্কা লাগে বলে অভিযোগ। ইএম বাইপাসের উপর দিয়ে গাড়ি তীব্র গতিতে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে ধাক্কা লেগেছে। তবে বড় পথ দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে দুটি গাড়িই। এই ধাক্কা লাগার পর গাড়ি থেকে নেমে নওশাদের গাড়ির চালককে প্রতিবাদ জানান বিচারপতির চালক। সেখান থেকেই হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বিধায়কের চালক তখন বিচারকের চালককে সপাটে চড় মেরেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকী, তাঁর নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে বলেই খবর।