২০১৪ সালে ঘাটাল থেকে প্রথমবার প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তার পর ২০১৯ সালের ভোটেও জিতেছেন। তাঁর সাংসদ জীবনের প্রায় দশ বছর হতে চলল। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে গত ৮ অগস্ট ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব বলেন, ‘সত্যি বলতে কি ফের প্রার্থী হব কিনা সে ব্যাপারে এখনও ভাবিনি। এখন একটু ছবির ব্যাপারে বেশি মন দিতে চাই।’ তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘গত দশ বছরে ঘাটালের মানুষের থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। মানুষের ভাল করার চেষ্টাও করেছি। তবে এটা ঠিক যে সংসদে আমার উপস্থিতির হার ছিল খুব খারাপ।’ কিন্তু সোমবার একটি ঘটনার পর দেবকে নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে তৃণমূলের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালীপুজোর দিন যেতে পারেননি তিনি। তার বদলে সোমবার বিকেলে গিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দধিকর্মা খুব নিষ্ঠাভরে হয়। জানা গিয়েছে, দেব যাওয়ার পর তাঁর বাড়ির অফিসে তাঁকে নিয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে অনেকে মনে করছেন, দেব যাতে পুনরায় ঘাটাল থেকে লোকসভায় প্রার্থী হন সে ব্যাপারে হয়তো বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। কালীঘাট ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার কথায়, লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকায় এবার অন্তত কুড়ি-পঁচিশ জন নতুন মুখ আনতে হবে দলকে। সেই চাপ কম নয়। বর্তমান সাংসদদেরও অনেকে টিকিট নাও পেতে পারেন। কিন্তু দেবকে নিয়ে তেমন কোনও ফিডব্যাক নেই। বরং বাংলা ছবিতে এখন দেবই অন্যতম সুপারস্টার। তাঁর ফ্যান-ফলোয়িং সবচেয়ে বেশি। তাই দেব ঘাটাল তথা রাজনীতি ছেড়ে দিক, এমনটা হয়তো চাইছেন না দিদি।