দুই দিন আগে ইউএনডিপি ২০২৪ সালের এশিয়া-প্যাসিফিক মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করার সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে ভারতে আয় এবং সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে ভারতীয়ার বিভিন্ন বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের মুখোমুখি হচ্ছে। বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের অর্থ দারিদ্যের বিভিন্ন রকমফের। অর্থাৎ কেউ হয়তো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, কেউ খাবার, কেউ অপুষ্টির শিকার ইত্যাদি। রিপোর্টে উল্লেখ, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার যেখানে ২০১৫-১৬ সালে দেশের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ছিল, সেখানে ২০১৯-২১ সালে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ইউএনডিপি -এর প্রতিবেদনে উল্লেখ, ভারতের ১৮.৫০ কোটি মানুষকে জোর করে দারিদ্যের মধ্যে থাকতে বাধ্য় করা হচ্ছে যাঁদের দৈনিক আয় ২.১৫ ডলার অর্থাৎ দৈনিক ১৮০ টাকা।
এই রিপোর্টটির নাম দেওয়া হয়েছিল, ন্যাশনাল মাল্টিডায়মেনশনাল পোভার্টি ইনডেস্ক: আ প্রোগেস রিভিউ ২০২৩। দারিদ্র্য সীমার উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের আওতায় পড়া মানুষের সংখ্যা ২৪.৮৫ শতাংশ থেকে কমে ১৪.৯৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মোদী সরকারের আমলে গত পাঁচ বছরে ১৩.৫০ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠেছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র একটি নির্বাচনী ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন, বিজেপি সরকার ঠিক করছে আগামী আরও পাঁচ বছর দেশের ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন বণ্টন করা হবে। মানুষের ভালোবাসা তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য় মেয়াদ বাড়ানো হবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, ঘোষণা করেছেন মোদী। করোনা মহামারীর সময় শুরু হয়েছিল এই স্কিম। দেশের ৮০ কোটি মানুশ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোভিডের সময় থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা কী, যখন দেশ সেই ফেজ থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে এসেছে, উঠছে প্রশ্ন। একদিকে সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের মতে, ভারতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের কবলে পড়া মানুষের সংখ্যা কমেছে। তাহলে কেন দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্নও।