এবার শহর কলকাতায় সন্ধান মিলল মা কালীর ৩০০ বছরের পুরনো একটি খাঁড়ার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, খাঁড়াটির আকৃতি, গঠন, বয়স দেখে সেটি দিয়ে নরবলি দেওয়া হত বলেই অনুমান করছেন গবেষকরা। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি। এছাড়াও কলকাতায় আরও একটি ২০০ বছরের প্রাচীন খাঁড়াও উদ্ধার হয়েছে। আগামী দিনে ওই দু’টি প্রাচীন খাঁড়া সংরক্ষিত রাখা হবে কলকাতার নতুন স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে। প্রায় ১২ বছর আগে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মা কালীর খাঁড়া, বিভিন্ন ধরনের তলোয়ার, অ্যান্টিক বন্দুক সহ নানান অস্ত্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানেই ওই ২০০ বছরের প্রাচীন ৩১ ইঞ্চি লম্বা খাঁড়াটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
পাশাপাশি, জনৈক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সংগ্রহে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো খাঁড়াটি ছিল। যা রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় নিজের উদ্যোগে সংগ্রহ করেন। প্রাচীন খাঁড়াটি ৩৮ ইঞ্চি অর্থাৎ ৩ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা। এই ধরনের খাঁড়ায় পশুবলি তো বটেই, নরবলিও দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তাই নিয়েই বর্তমানে চলছে গবেষণা। ইতিমধ্যে মিউজিয়ামে রাখার জন্য দুটি খাঁড়াই বিল্পববাবুর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতা সহ বাংলার নানা জায়গায় একাধিকবার নরবলির ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৭৮৮ সালে কলকাতার চিৎপুরে একটি নরবলির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মন্দিরের পুরোহিত। শুধু কলকাতা নয়, বর্ধমান, হুগলি সহ একাধিক জেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নরবলির ভয়াবহ কাহিনী। যা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে আসে। এইসব ঘটনা তৎকালীন বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। নরবলির ইতিহাস রয়েছে বাংলার বাইরে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও। ব্রিটিশ সাহেবদের বিভিন্ন লেখায় সেইসব উদাহরণ বারে বারে উঠে এসেছে। তাই বাংলার ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও এই দু’টি খাঁড়া তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদরা।