প্রাক-নির্বাচনী আবহে ফের বিপাকে পড়ল বঙ্গ বিজেপি। গত শুক্রবার পক্ষপাতিত্ব, বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো-সহ একাধিক অভিযোগে শুক্রবার বিকেলে তারাপীঠ থানায় বিক্ষোভ দেখায় পদ্মশিবিরের কর্মীরা। যার নেতৃত্ব দেন বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা। বিজেপি কর্মীদের আটকাতে থানার সামনে ব্যারিকেড গড়ে তুলেছিল পুলিশ। থানায় বিক্ষোভ দেখানোর সময় বিজেপি সেই ব্যারিকেড ভেঙে থানা চত্বরে ঢুকে পড়ে। সেই সঙ্গে বক্তব্য পেশ করার সময় তারাপীঠ থানা তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ধ্রুব সাহা। এমনকী মানুষ ওসিকে দ্বারকা নদে ছুঁড়ে ফেলবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ধ্রুব সাহা, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ জনের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। শুক্রবার রাতেই তিন বিজেপিকর্মী চিরণ মাল, উত্তম লেট ও বাপি ভুঁইমালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। প্রত্যেককে ১৪ দিনের জেল হেফাজত এবং পুলিশকে ১৬ই নভেম্বরের মধ্যে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।