শনিবার রাত পোহালেই কালীপুজো। আর তার আগে বারাসাতের পাশাপাশি কালীপুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে নৈহাটিও। কথিত আছে, একশো বছর আগে নৈহাটির বাসিন্দা ভবতোষ চক্রবর্তী রাশের উৎসবে গিয়ে বিশাল প্রতিমা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। ফিরে এসেই তাঁরা ঠিক করেন এরকম বড় প্রতিমার কালী পুজো করবেন। সেই থেকে শুরু বড়মার পুজো। এবার যা শতবর্ষে পা দিতে চলেছে। আর তাই লক্ষ লক্ষ ভক্তসমাগমের সম্ভাবনায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়তি নজর রাখা হবে ফেরি ঘাটেও।
প্রায় বছর খানেক ধরেই চলছিল বড়মার মন্দির সংস্কারের কাজ। কালী পুজোর আগেই তা সম্পন্ন হয়েছে। বসানো হয়েছে কষ্ঠি পাথরের মূর্তি। প্রায় ৬ কোটি টাকায় ঢেলে সাজানো হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গন। পুজোর দিন একশো কেজি সোনার গহনা পরানো হবে বড়মাকে। শতবর্ষ উপলক্ষে ১০০ ঘন্টা টানা ভক্তদের বড়মার প্রসাদ বিলির সিদ্ধান্তও নিয়েছে মন্দির কমিটি। পাশাপাশি ১০০ টি বৃক্ষও রোপণ করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও ২২ ফুটের প্রতিমায় বড়মা পুজিত হবেন বলেই জানানো হয়েছে মন্দির কমিটির তরফে।