শুক্রবার ফলতার ফতেপুর হাইস্কুল ফুটবল মাঠে তৃণমূলের বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে দাঁড়িয়েই ফলতাবাসীকে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, ‘আগামী ৩ মাসের মধ্যে পানীয় জল পৌঁছে যাবে ফলতার প্রতিটা ব্লকে, প্রতিটা পঞ্চায়েতে প্রতিটা গ্রামে।’ প্রসঙ্গত, অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে অন্তর্গত ফলতা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আর্সেনিক প্রবণ এই ব্লকে তাই শুদ্ধ পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছেও। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অভিষেকের এই প্রতিশ্রুতি একপ্রকার চ্যালেঞ্জই।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আমি ২০১৪ সালে নির্বাচিক হওয়ার পর বলেছিলাম, আমার সীমাবদ্ধতা-সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সাংসদ হওয়ার পর তৎকালীন জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে, ২০১৫ সালে এই ফলতায় শুরু করেছিলাম ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ জলের প্রকল্প, ফলতা-মথুরাপুর জলের প্রোজেক্ট। সেই প্রোজেক্টের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৪০০ কোটি টাকা। এখন টেস্টিংয়ের কাজ চলছে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে, ফলতার প্রতিটা ব্লকে, প্রতিটা পঞ্চায়েতে, প্রতিটা গ্রামে। গতবছর ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেজ টু-এর কাজ শুরু হয়েছে, যেখানে বিষ্ণুপুর ২, বজবজ ২, জায়মন্ডহারবার লোকসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষ পানীয় জল পাবে।’