ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। এবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনল একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। অভিযোগ, আইনকে ঢাল করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক সংস্থান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানও বিঘ্নিত করছে মোদী সরকার। বিরোধীরা এতধিন ধরে অভিযোগ করে আসছিল, কেন্দ্রীয় সংস্থা-সহ দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহার হচ্ছে দেশে। এবার অভিযোগ করল একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের মতে, দেশে ‘দমন মূলক’ আইনের ক্রমাগত ‘অপব্যবহার’ হয়েছে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর।
উল্লেখ্য, আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও সিকিউরিটি নেটওয়ার্, চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টেই ভারতে সন্ত্রাস বিরোধী ও অর্থ তছরুপ আইনের শোষণমূলক দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইউএপিএ, অর্থ তছরুপ বিরোধী পিএমএলএ ও বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত এফসিআরএ আইনের সর্বাধিক অপব্যহার হচ্ছে। ওই চারটি সংগঠন প্রায় এক সুরে বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক সংস্থান ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানও বিঘ্নিত হচ্ছে এর ফলে। সব কিছুই করা হচ্ছে বিভিন্ন আইনকে ঢাল করে। আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন প্রকাশিত ৬৫ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সন্ত্রাস রোধী আইন প্রসারিত হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে আইনে অস্পষ্টতা বেড়েছে, এমনকী অভিযুক্তদের মৌলিক অধিকারের বিষয়টিও উপেক্ষিত হচ্ছে এই সব আইনে। আন্তর্জাতিক সংস্থা উল্লেখ করেছে, ২০১০ সালে ভারত এফএটিএ’তে যোগ দেয়। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে ও তাঁদের কর্মসূচি বন্ধ করতে বিভিন্ন আইন প্রয়োগ করেছে মোদী সরকার। যা ঘিরে বারবার উঠেছে বিতর্কের ঝড়।