গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোঁড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। গাজা ভূখণ্ডে আক্রমণের ধার ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছে ইজরায়েলি সেনা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার শহরে ‘প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল’ করে সিপিএম-সহ একাধিক বাম সংগঠন। আর তা নিয়েই কটাক্ষের মুখে তারা। সিপিএম এবং সঙ্গী দলগুলির লোক দেখানো প্রতিবাদ আসলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, এমন কটুবাক্যই শুনতে হচ্ছে তাদের।
এছাড়া এই প্রশ্নও উঠছে যে, মরিচঝাঁপি, বিজন সেতু, কেশপুর-গড়বেতা কিংবা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো গণহত্যায় যারা কলঙ্কিত, তারা কী করে প্যালেস্টাইনে ইজরায়েলের ‘গণহত্যা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এদিকে, সিপিএম-সহ বাম দলগুলির দাবি, প্যালেস্টাইনে গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল বাহিনী। বুধবারের মিছিল থেকে তারা দাবি তুলেছে, ১) গাজায় ইজরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ২) অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং ৩) গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক ও জীবনদায়ী সাহায্য পাঠাতে হবে। তবে মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বললেও হামাস জঙ্গি সংগঠন এবং প্যালেস্টাইনের সাধারণ নাগরিক যে এক না, সেকথা জনতার সামনে খোলসা করছে না বামেরা।