তাঁর আমলে বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। কালিমালিপ্ত হয়েছে কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকদেরও। বলা চলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও উৎসব থেকেই কার্যত ব্রাত্য হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এবার বিদ্যুৎ-বিদায় ঘটতেই উৎসবের আমেজে মাতলেন প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে বৈদিক মন্ত্র পাঠ করে ছাতিমতলায় প্রতীকী উপাসনা করেন তাঁরা। রবীন্দ্রভবনের সামনে থেকে উপাসনাগৃহ পর্যন্ত মিছিল করেন। শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতেই প্রতীকী উপাসনার আয়োজন বলে জানান প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, ফলক বিতর্কের মধ্যেই বুধবার বিশ্বভারতীতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কর্মজীবনের মেয়াদ শেষ হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মতো কলাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সঞ্জয়কুমার মল্লিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বভার পালন করবেন বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণার আগে থেকেই বিদ্যুৎ ‘বিরোধী’ অধ্যাপকরা মিষ্টি বিলি করতে শুরু করেন। কারণ, উপাচার্য থাকাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আশ্রমিকদের একাংশের মতে, বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণের চেষ্টা করেন প্রাক্তন উপাচার্য। যার ফলে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ক্ষুন্ন হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।