সম্প্রতি দেশে দুটি ঘটনায় তদন্তের নামে সাংবাদিকদের অধিকার হরণের অভিযোগ উঠেছে। একদিকে যেমন বিবিসি-র বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির তদন্তে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সাময়িকভাব নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তেমনি গত মাসে নিউজক্লিক সংস্থার বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী চক্রান্তে যুক্ত থাকার অভিযোগের তদন্তেও বহু সাংবাদিকের মোবাইল, ল্যাপটপ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। এদিকে, এগুলিতেই থাকে গোপন তথ্য, খবর সরবরাহকারীর নাম, যাঁদের সাংবাদিকতার পরিভাষায় বলা হয় ‘সোর্স’। এবার তাই সুপ্রিম কোর্ট মোদী সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল, তদন্তের নামে এজেন্সিগুলি চাইলেই মোবাইল, ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না।
শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ কেন্দ্রকে বলেছে, কোন কোন ক্ষেত্রে করা যাবে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রকে এক মাসের মধ্যে একটি বিধি তৈরি করতে হবে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই কাজ না করলে শীর্ষ আদালতই তা তৈরি করে দেবে। তদন্তের নামে এই সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস সব সময় বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। একটি মামলায় এই প্রসঙ্গে দুই বিচারপতি বলেন, খবরের সোর্স বা সূত্র অনেক সময় সাংবাদিকদের গোপন রাখতে হয়। মোবাইল, ল্যাপটপে অনেক ব্যক্তির নাম, ফোন নম্বর থাকে যা সাংবাদিক গোপন রাখতে চান। পুলিশ, ইডি, সিবিআই তদন্তের নামে প্রথমে এগুলিই বাজেয়াপ্ত করে নেয়। ফাউন্ডেশন অফ মিডিয়া প্রফেশনালের জনস্বার্থ মামলায় আদালত বলে, এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না যে তদন্তের জন্য সর্বদা সাংবাদিকের মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা দরকার।