অভিনব পদক্ষেপের নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে দৈনন্দিন খাবারে ক্ষতিকর দ্রব্য এড়াতে ক্রমশ বাড়ছে জৈবচাষের গুরুত্ব। এবার সেই লক্ষ্যেই পুরোপুরি রাসায়নিক বর্জিত জৈবখাদ্য সামগ্রীর ভাণ্ডার তৈরি করেছে রাজ্য। জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের উল্টোদিকে কৃষি বিপণন দফতরের সদ্য নির্মিত ষষ্ঠ তলে উদ্বোধন হবে জৈবফসলের হাটের। সারা বাংলা জুড়ে সুলভ মূল্য সাধারণ মানুষকে আনাজ সরবরাহকারী সরকারি সংস্থা ‘সুফল বাংলা’ পরিচালনা করবে এটি। সেখানে বাংলায় উৎপাদিত সব রকমের জৈব সব্জি পাওয়া যাবে। ক্রেতারা এবার থেকে পাবেন অর্গানিক (ফ্রোজেন) মাছ এবং মাংস। এছাড়াও এই হাটে পাওয়া যাবে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত চাল, ডাল, সরষের তেল, মধুও।
পাশাপাশি, সুফল বাংলা স্টলে অবশ্য চলতি বাজারের তুলনায় জৈব হাটে আনাজের দাম অবশ্য প্রায় ২০ শতাংশের বেশি হবে। এছাড়া অন্যান্য দ্রব্যের দামও বাজার দরের তুলনায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি হতে পারে। কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, এই জৈব চাষে যে কোনও ধরনের কীটনাশক বা রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না। ফলে ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর উৎপাদন মূল্য বেশি। কৃষি বিপণন দফতর জৈব চাষ ও তার মাধ্যমে উৎপন্ন ফসল বিক্রয়ে ইচ্ছুকদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। ব্যক্তি, ফার্ম এবং চাষিদের গ্রুপ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন কিংবা সংস্থা সিলেক্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সরকারি হলফনামা বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জৈব দ্রব্যগুলির ‘র্যানডাম টেস্টিং’ করা হবে। তাতে কোনও খামতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট চাষী কিংবা সংস্থার বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেবে রাজ্য।