এবার মোদী সরকারকে কড়া কটাক্ষে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। ঋণখেলাপি, ঋণ মকুবের হিসেবপত্র-প্রসঙ্গে এবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তিনি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখে জহর সরকার প্রশ্ন তুলেছেন, “বড়লোকদের জন্য ব্যাঙ্কের বিপুল অঙ্কের টাকা যে নয়ছয় হয়েছে, তা কেন বাজে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে দায় সারছে কেন্দ্র?”
পাশাপাশি, এর আগে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেও উত্তর মেলেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট করেছেন তিনি। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসিদের মতো ঋণখেলাপি ধনকুবেরদের কারণে দেশের অর্থভাণ্ডারে যে ব্যাপক চাপ পড়েছে, তা নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদলকে বিরোধীদের আক্রমণও স্বাভাবিক। ওই ঋণখেলাপিদের জন্য ঠিক কত টাকার ঘাটতি হয়েছে? ঋণ আদায় করতে না পেরে কেন ব্যাংকগুলিকে সেসব বাজে খরচের খাতায় নথিভুক্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হল? এসব প্রশ্ন উঠেছে। আরটিআই-এর জবাব কেন্দ্র এড়িয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে একাধিক।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই বিষয়টি নিয়েই ফের সরব হল তৃণমূল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখে সেসব হিসেব চেয়েছেন সাংসদ জহর সরকার। এ বিষয়ে তাঁর দেওয়া তথ্য নিয়ে কিছু বলতে পারেনি কেন্দ্র, এই বলে তিনি সরাসরি নিশানা করেছেন অর্থমন্ত্রীকে। তাঁর অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাতের কারণে বিশেষত মোদীর আশীর্বাদ থাকায় ঋণখেলাপিরা পালিয়ে পার পেয়ে গিয়েছেন। ব্যাঙ্কের আমানত নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে। উল্লেখ্য, তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার এই বিষয়টিকে সামনে আনছেন এমন এক সময়, যখন ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে উঠেছে। শাসকদলের তীব্র আন্দোলন সত্ত্বেও এখনও বাংলার কৃষক-শ্রমিকরা সেই অর্থ হাতে পাননি। তাই সঙ্গত কারণেই এহেন সমালোচনা করেছেন তিনি। বলতে চেয়েছেন, গরিব মানুষদের প্রাপ্য দেওয়া হচ্ছে না, অথচ এত এত পরিমাণ অর্থ অনর্থক ফেলা হচ্ছে ব্যয়ের খাতায়।