আজ ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। যার প্রচারে অংশ নেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ৯ বছরে এই প্রথম। আসলে তারা যে এই ভোটে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারবে না, তা আগে থেকেই জানে গেরুয়া শিবির। কারণ মিজোরামের বিধানসভা ভোটে এবার শুরু থেকেই ছায়া ফেলেছিল মণিপুর ইস্যু। গত মে মাস থেকে শুরু হওয়া জাতি-সংঘর্ষে এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বিজেপি-শাসিত মণিপুরের। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের হাতে আক্রান্ত কুকি সম্প্রদায়ের বহু মানুষের যোগ রয়েছে মিজোরামের সঙ্গে। অশান্ত মণিপুর থেকে বহু শরণার্থী পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামে।
মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর ধারাবাহিক নীরবতা ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ মিজোরামবাসী। মানুষের ক্ষোভের আঁচ পেয়েই শেষ মুহূর্তে মিজোরামে নির্বাচনী প্রচার বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মিজোরামকে ‘অচ্ছুত’ রেখেছেন অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডাও। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এই এড়িয়ে চলা মনোভাবই বুঝিয়ে দিচ্ছে এবারের বিধানসভা ভোটে এখানে চাপে বিজেপি। মণিপুরে লাগাতার হিংসার আবহে মিজোরামের আজকের ভোটের দিকে নজর দেশবাসীর। একইসঙ্গে জমি পুনরুদ্ধারে তৎপর কংগ্রেস। নির্বাচনী ইতিহাস মেনে মিজোরামে যেভাবে প্রতিবছর সরকার পাল্টায় সেই ধারা অব্যাহত থাকলে এবার ক্ষমতায় ফেরার কথা কংগ্রেসের।