কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তির ওঠা পড়া নিয়ে শনিবার সোশ্যাল মাধ্যমে বড় প্রশ্ন তুলছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে কাঁথির সাংসদ শিশিরবাবুর সম্পত্তির বিবরণ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল জানতে চেয়েছিলেন, ‘পরিসংখ্যান সত্য নাকি ভুল? ১০ লাখ কীভাবে ১০ কোটি টাকা হল? কীভাবে ১০ কোটি কমে ৩ কোটিতে এল? এটা কি জাদু’?
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক থেকে শুভেন্দু সহ বিজেপির একাধিক মন্ত্রী, সাংসদের অস্বাভাবিকহারে সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললো তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং পার্থ ভৌমিক।
শুভেন্দু, শিশির অধিকারীর পাশাপাশি দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি, বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং জগদম্বিকা পালের অস্বাভাবিকহারে সম্পত্তি বৃদ্ধির দাবি করে শশী দেবীর প্রশ্ন, ‘ওরা কি ধোয়া তুলসী পাতা? ওদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স তদন্ত কেন হবে না’?
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই। বলেছেন, ‘শতকরা ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন অনুযায়ী তদন্তের গতি বৃদ্ধি করা হয়, সেটা আবারও প্রমাণিত’।
পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কিন্তু তদন্তের নামে দিনের পর দিন ধরে টালবাহানা আমরা বরদাস্ত করব না’। মিডিয়া ট্রায়ালের নামে একাংশ সংবাদমাধ্যম যেভাবে শাসকদলের নেতাদের চরিত্র কলুষিত করছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন শশী, পার্থরা।