উত্তর বাংলার চা শ্রমিকদের স্বার্থে পাট্টা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি পাহাড়। রবিবার জিটিএর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্যের সমীক্ষার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই জমি জরিপ কমিটি গঠন করতে পারে জিটিএ। লোকসভা ভোটের প্রাকলগ্নে পাহাড়ে কার্যত আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল বিজেপি। দার্জিলিং ও কালিম্পঙে চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা প্রদান নিয়ে সমীক্ষা প্রায় তিনমাস ধরে আটকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। চা শ্রমিকদের কাছে কত জমি রয়েছে, তা নিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার কার্শিয়াংয়ের কমিউনিটি হলে সর্বদলীয় বৈঠক করে জিটিএ। সেখানে জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা ছাড়াও বিজিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের নেতা জেবি তামাং, সভাসদ সতীশ পোখরেল, জয়েন্ট ফোরামের সুরজ শর্মা সহ অধিকাংশ শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিজিপিএমের শ্রমিক সংগঠন চা বাগানের শ্রমিকদের জমির সমীক্ষা নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ২৪টি শ্রমিক সংগঠনের জোট জয়েন্ট ফোরামের বক্তব্যও এক। প্রায় প্রতিটি শ্রমিক সংগঠনই বলছে, রাজ্যের উদ্যোগে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। তাতে উপকার পাবেন পাহাড়বাসীরা। লোকসভা ভোটের আগে এই ঘটনায় পাহাড়ের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানান জল্পনা। এতে উত্তরের মাটিতে আরও জমি হারাবে পদ্মশিবির, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।