চলতি আইসিসি বিশ্বকাপে একেবারেই ভাল ছন্দে নেই শ্রীলঙ্কা। সাতটি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হারতে হয়েছে তাদের। যার মধ্যে রয়েছে ভারতের কাছে ৩০২ রানের লজ্জার পরাজয়। এই হার মেনে নিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা সরকার। ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার জন্য পুরো ক্রিকেট বোর্ডকেই বরখাস্ত করে দিয়েছে তারা। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রনসিংহে। বিশ্বকাপের আগে থেকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সেই কমিটিকে দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে দলের এই খেলা মেনে নিতে পারেননি ক্রীড়ামন্ত্রী। তাই কড়া পদক্ষেপ করেছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রনতুঙ্গকে আপাতত বোর্ডের অন্তর্বর্তী কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। নতুন সাত সদস্যের যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও এক প্রাক্তন বোর্ড সভাপতিও
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের কাছে ৩০২ রানে হারার পরেই পুরো বোর্ডকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন রনসিংহে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। রনসিংহে বলেছিলেন, ‘‘ওরা দুর্নীতি ছাড়া কিছু বোঝে না। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওদের উচিত পদত্যাগ করা। শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত ওদের।’’ গত শনিবার থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বার করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা। রনসিংহের বার্তার পরে রবিবার বোর্ডের এক কর্তা মোহন ডি’সিলভা পদত্যাগ করেন। কিন্তু বাকিরা কোনও পদক্ষেপ নেননি। ফলে নিজেই সিদ্ধান্ত নেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এমন একটি দিনে তিনি এই পদক্ষেপ করলেন, যে দিন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা। খাতায়-কলমে টিকে থাকলেও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া শ্রীলঙ্কার কাছে কার্যত অসম্ভব। বোর্ডের এহেন ডামাডোলের আবহে কুশল মেন্ডিসরা ফের জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটমহল।