২০০৮ থেকে ২০১৮ ক্ষমতায় থাকলেও ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে মিজোরামে গদি হারাতে হয় কংগ্রেসকে৷ ৪০ আসনের মধ্যে ২৭টিতে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট(এমএনএফ)৷ জোরাম পিপলস মুভমেন্ট-এর হাতে এসেছিল ৮টি আসন৷ ৪টি আসন পেয়ে হুড়মুড়িয়ে তৃতীয় স্থানে চলে এসেছিল কংগ্রেস৷ আর বিজেপি, ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১টি আসন পেয়ে প্রথম বার খাতা খুলেছিল এ রাজ্যে৷ সেই মিজোরামেই আগামীকাল বিধানসভা ভোট৷ আর তার আগে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হাত শিবির৷ কংগ্রেসের হয়ে এখানে প্রচারে এসেছেন রাহুল গান্ধি, শশী থারুর, মল্লিকাড়জুন খাড়গে থেকে জয়রাম রমেশ৷ মিজোরামে ক্ষমতা দখলের আশায় একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে তাঁদের তরফে৷ ৭৫০ টাকায় ভর্তুকি যুক্ত রান্নার গ্যাস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থেকে শুরু করে ১৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমা৷ ক্ষমতায় এলে ২০০০ টাকার বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন খাড়গে৷
অন্যদিকে, ভোটপর্বের আগে নিয়মমতো মিজোরামে প্রচারে আসতে দেখা গিয়েছে রাজনাথ সিং, নিতিন গডকড়ি, কিরেন রিজিজুর মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতাদের৷ কিন্তু, গত ৩০ অক্টোবর মামিত জেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তিনি আসেননি৷ এমনকি, মোদির এই সফর বাতিলের কারণও স্পষ্ট করেনি পদ্ম শিবির৷ প্রচারের শেষ দিনে অবশ্য মিজোরামবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে৷ তবে, কি মিজোরাম নিয়ে খুব বেশি আশা করছে না বিজেপি? অন্তত, মিজোরামের বিজেপি প্রেসিডেন্ট কথায় তো একপ্রকার তা স্পষ্টই৷ মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচনে মোটের উপর ৬ থেকে ৮ টা আসনে জয় পাওয়ার আশা রাখছেন তাঁরা৷ এদিকে, মোদীর এভাবে মিজোরাম সফর বাতিল করা নিয়ে কড়া কটাক্ষ শোনা গিয়েছে কংগ্রেস খাড়গের গলায়৷ তাঁর দাবি, পরাজয় ‘ভয়’ পেয়েই নাকি মিজোরামে প্রচারে আসেননি মোদি৷