অব্যাহত প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের সংঘর্ষের আবহ। গত এক মাস ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে হত্যালীলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। বিমান হামলার পরে গত কয়েকদিন ধরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু সেই স্থল অভিযানে নেমেই হামাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। গাজা ধ্বংস করতে যাওয়া ইজরায়েলি সেনা প্রাণভয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আর ওই প্রতিরোধের মুখে পড়ার পরেই গাজায় পরমাণু বোমা ব্যবহারের হুমকি দিলেন ইজরায়েলের মন্ত্রী আমিচাই ইলায়াহু। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইজরায়েলে হেরিটেজ মন্ত্রী ইলায়াহু এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। একটা পরমাণু বোমা মারলেই সব শেষ হয়ে যাবে। গাজায় পরমাণু ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, এর পাশাপাশি গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ পৌঁছনোরও বিরোধিতা করেছেন ইলায়াহু। তাঁর কথায়, “গাজার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ পৌঁছনোর কী প্রয়োজন রয়েছে, তা বুঝতে পারছি না।” ইজরায়েলের হেরিটেজ মন্ত্রীর পরমাণু ব্যবহারের হুমকি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক দেশের পক্ষ থেকে ইলায়াহুর মন্তব্যের নিন্দা করে জানানো হয়েছে, “গাজায় পরমাণু বোমা ব্যবহার করার পরিণতি ভাল হবে না।” যদিও জাতিসঙ্ঘ-সহ একাধিক দেশের সমালোচনার পরেও শরণার্থী শিবিরে লাগাতার হামলা চালিয়ে চলেছে ইজরায়েলি ঘাতক বাহিনী। জাবিলিয়ার পরে আল মাগহাজি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় ৪৭ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এরই পাশাপাশি, জাবিলিয়ায় শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ছয় জন।