দুর্গাপুজো শেষ হয়েছে। দশমীর পর পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। কিন্তু এখনও শহর বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে রয়েছে বিজ্ঞাপনে। এবার এই দৃশ্যদূষণের জন্য কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। যে সমস্ত সংস্থা এখনও নিজেদের বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং খোলেনি, তাদের দিতে হবে চারগুণ টাকা। এই মর্মে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলিকে চিঠি দিচ্ছে পুরসভা। আর কদিন পরেই আলোর উৎসবে মেতে উঠবে শহর। আগামী ১২ই নভেম্বর কালীপুজো। দু’সপ্তাহও বাকি নেই দীপাবলির। পুরসভা চেয়েছিল কালীপুজোর আগে শহরকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু বিজ্ঞাপন সংস্থার উদাসীনতার জন্যই তা সম্ভব হচ্ছে না। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের একাধিক জায়গায় বিজ্ঞাপন না খোলা নিয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে কথা হয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, শুধু দৃশ্য দূষণই নয়। দুর্গাপুজোর বিজ্ঞাপনের বাঁশের জন্য রাস্তায় একাধিক জায়গায় গর্ত হয়ে রয়েছে। সেই গর্তে পথচারীদের পা পড়লে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত, যেখানে যেখানে দুর্গাপুজোর বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল ২রা নভেম্বরের মধ্যে তাদের তা খুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে কথায় কান দেয়নি অনেকেই। শুক্রবার রাতে কলকাতা পুরসভার দুটি টিম বেরিয়েছিল অভিযানে। একটি টিম গিয়েছিল শিয়ালদহ থেকে বিধান সরণি হয়ে উত্তরের টালা বারোয়ারি। অন্য আরেকটি টিম গিয়েছিল খিদিরপুর বেহালা এলাকায়। পুরসভার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুটি জায়গাতেই বিক্ষিপ্তভাবে লাগানো রয়েছে হোর্ডিং। যেখানে যেখানে এখনও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং ঝুলছে শুক্রবার রাতেই তা খুলে ফেলা হয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, যাদবপুরেও অভিযান চালাবে পুরসভা। মেয়র জানিয়েছেন, কালীপুজোয় অনেকেই নতুন করে হোর্ডিং লাগান। এতদিন দুর্গাপুজোর বিজ্ঞাপন রাখার কোনও কারণ নেই। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পাড়া চেতলা অগ্রণীতে বড় দুর্গাপুজোর পাশাপাশি কালীপুজোও হয় জাঁকজমকের সঙ্গে। মেয়রের কথায়, “আমি নিজে আমার পাড়ার বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং সরিয়ে দিয়েছি।” বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলির প্রতি তাঁর বার্তা, শহরের রাস্তার দুপাশ হোর্ডিংয়ের গোডাউন নয়। এখনও যারা হোর্ডিং খোলেনি সেই সমস্ত সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছে পুরসভা। হোর্ডিংয়ের জন্য প্রতি বর্গফুটে ১৫ টাকা করে দিতে হয় বিজ্ঞাপন সংস্থাকে। যে সমস্ত সংস্থা ২ নভেম্বরের পরেও বিজ্ঞাপন খোলেনি, চারগুণ টাকা দিতে হবে তাদের। অর্থাৎ, যথাসময়ে হোর্ডিং না সরানোর জন্য সংস্থাকে প্রতি বর্গফুটে দিতে হবে ৬০ টাকা।