অবিলম্বেই রাজ্য পেতে চলেছে দুটি নতুন জাতীয় সড়ক। ইতিমধ্যেই সে কাজে গতি বাড়াতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রস্তাবিত কলকাতা-বারাণসী ও খড়গপুর-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে দ্রুত কাজ শেষ করার ব্লু প্রিন্ট নিয়ে শুক্রবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ, জমিদাতাদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের দেওয়ার প্রস্তুতি, এই সব কিছুর জন্য সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যসচিব। চলতি বছরের মধ্যেই এসব কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ডানকুনি থেকে বারাণসী এবং খড়গপুর থেকে মুর্শিদাবাদের মোড়গ্রাম পর্যন্ত দুটি নতুন জাতীয় সড়ক তৈরি হবে। তার কাজ শুরু হয়েছে। আর সেই কাজে গতি আনতেই শুক্রবারের বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, চলতি মাসের মধ্যেই জমিদাতাদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর জমি অধিগ্রহণের পদ্ধতি শেষ করতে তিনি ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। যদিও এই দুই জাতীয় সড়ক যেখান দিয়ে যাবে, তার বেশিরভাগই ফাঁকা জমির উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে কিছুটা অংশ বসতির মধ্যে দিয়ে যাবে। আর তার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। তারই প্রস্তুতি হিসেবে একাধিক নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব। এছাড়া এদিনের বৈঠকে অন্যান্য জাতীয় সড়কের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি সিকিমের ধসের জেরে উত্তরবঙ্গের জাতীয় সড়কগুলির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। মেরামতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয়েছে। তবে এদিনের বৈঠকের মূল বিষয় ছিল নতুন দুটি জাতীয় সড়কের কাজ, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।