বাংলাজুড়ে জনসংযোগ দৃঢ়তর করতে এবার তৎপর হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর পর রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনী চলছে তৃণমূলের। সূত্রের খবর, আগামী ৬ই নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ভবানীপুরে, নিজের কেন্দ্রের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহে বিধানসভা কেন্দ্রের ৮টি ওয়ার্ডের কর্মীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান হবে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধায়ক দেবাশিস কুমার ছাড়াও ভবানীপুরের সমস্ত কাউন্সিলর ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। ১০০ দিনের কাজে মোদী সরকারের ক্রমাগত বঞ্চনা নিয়ে বাংলার আন্দোলন চলছে। যতক্ষণ না বাংলার প্রাপ্য পুরোপুরি আদায় হয়, ততক্ষণ সেই আন্দোলনের পথ থেকে সরবে না তৃণমূল। সেই ইস্যুকে সামনে রেখেই দলের বিজয়া সম্মিলনীর পর্ব চলছে। আগামী ১০ই নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সেই কর্মসূচি চলবে, দলের নির্দেশ তেমনই। নির্দিষ্ট করে নিজের কেন্দ্রেই সেই কর্মসূচি করতে বলা হয়েছে বিধায়কদের।
প্রসঙ্গত, শনিবার টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের শান্তিনগর মাঠে বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উদ্যোগো বিজয়া সম্মিলনী হবে। লেক গার্ডেনস বাঙুর পার্কে ৯৩ ওয়ার্ডের বিজয়া সম্মিলনীতে পুরনো দিনের শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান ‘হারানো সুর’ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ৫০ বছর দাম্পত্য জীবন পূর্ণ করা দম্পতিদের সংবর্ধিত করবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ মালা রায় ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নিজের ওয়ার্ড ৮২ নম্বরে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে। শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা, জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্তাও বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অন্যদিকে, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতো আরও বড় আন্দোলন নিয়ে রাস্তায় নামবেন বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। এদিন দাশনগরের বালটিকুরিতে দলীয় কার্যালয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে কর্মসূচি করেন তিনি। ছিলেন শিবপুর ব্লকের সভাপতি মহেন্দ্র শর্মা। একই ইস্যুতে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাও কর্মসূচি করেন। তেহট্ট ১ ব্লক সভাপতি সুকুমার মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি উত্তম বিশ্বাস-সহ ব্লকের তৃণমূল নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই কর্মসূচিতে।