বারবারই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথীতে কোনও রকম কারচুপি করলে বা সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অনিয়মের খতিয়ান পেতে এবং তা রুখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই-এর সাহায্য নিচ্ছে রাজ্য। আর তা বেশ কাজেও দিচ্ছে!
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প ব্যবহার করে অর্থপেডিক অস্ত্রোপচার করার নিয়মে সম্প্রতি বেশ বড়সড় বদল এনেছে রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে আর বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করানো যাবে না। তা সরকারি হাসপাতালেই করাতে হবে। একমাত্র যে ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে হাড়ের চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই, শুধুমাত্র তখনই বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে রোগীকে। যদিও পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর নয় বলে জানানো হয়েছে।
রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অনিয়ম রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের অনিয়ম ধরতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। তা বেশ কার্যকরীও হচ্ছে। এআই খুব সহজেই জানিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে কোন সময়ে কতগুলি অস্ত্রোপচার কিংবা প্রতিস্থাপন চলছে। এমনকী, এআই-এর পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অর্থপেডিক চিকিৎসার নিয়মে বদল আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের এক অধিকর্তা। ফলে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি রুখতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে রীতিমতো ফলপ্রসূ, তা স্পষ্ট।