কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তির ওঠা পড়া নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। টুইটে কাঁথির সাংসদ শিশিরবাবুর সম্পত্তির বিবরণ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল জানতে চেয়েছেন, ‘পরিসংখ্যান সত্য নাকি ভুল? ১০ লাখ কীভাবে ১০ কোটি টাকা হল? কীভাবে ১০ কোটি কমে ৩ কোটিতে এলো? এটা কি জাদু’?
নিজের বয়ানের সপক্ষে টুইটে নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারকে দেওয়া শিশিরবাবুর বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন কুণাল। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারী নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। তিন বছরের ব্যবধানে, ২০১২ সালে তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ভারত সরকারকে জমা দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটির কিছু বেশি। আবার ২০১৯ সালে লোকসভার সময় কমিশনকে জমা দেওয়া শিশিরবাবুর তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটির কিছু বেশি।
কুণালের এই টুইটকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ, শিশিরবাবু অফিসিয়ালি এখনও তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন শিশির অধিকারাী। এমনকী একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দুর মুখোমুখি লড়াইয়ের সময় তাঁকে নন্দীগ্রাম আন্দোলন এবং নেত্রীর ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই তৃণমূলের প্রকাশ্য কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে।