এবার ভেজাল মদ বিক্রি রুখতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি উৎসবের মরসুমে সুরা বিক্রিতে রেকর্ড আয় হয়েছে রাজ্যের। ফলত আরও ভরে উঠেছে কোষাগার। তাই তাতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আরও তৎপর হল রাজ্যের আবগারি দফতর। ভেজাল সুরা বিক্রি রুখতে জোড়া অস্ত্র আনছে। মদের বোতলে এবার থেকে কিউআর কোড বসানো হচ্ছে। যা স্ক্যান করে ওই মদ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া বোতলের গায়ে হলোগ্রাম লোগোটির আকারও বাড়ানো হচ্ছে, যাতে তা সহজেই চোখে পড়ে ক্রেতাদের। তথ্য বলছে, গত ৭ মাসে সুরা বিক্রি করে দশ হাজার কোটিরও বেশি আয় হয়েছে আবগারি দফতরের। তবে তারই মাঝে ভেজাল সুরা বিক্রি হচ্ছে, এমন অভিযোগও উঠেছে। আর সেই অভিযোগ পেয়ে তা রুখতে উদ্যোগী আবগারি দফতর। সেই কারণে নেওয়া হয়েছে দ্বিমুখী নীতি।
উল্লেখ্য, মদের বোতলের গায়ে যে হলোগ্রাম স্টিকার থাকে, তা খুব ছোট। হঠাৎ করে ক্রেতাদের চোখে নাও পড়তে পারে। সেই হলোগ্রাম স্টিকারের আকার বাড়ানো হচ্ছে। যাতে সুরা কেনার পরই ক্রেতা একঝলকে মদ সংক্রান্ত জরুরি তথ্য পড়ে নিতে পারেন। এছাড়া বোতলের গায়ে কিউআর কোড বসানো হবে। যা একবারই মাত্র স্ক্যান করা যাবে। স্ক্যান করলে মদের সমস্ত তথ্য পেতে পারেন ক্রেতারা। এ থেকেই বোঝা যাবে, ওই সুরা নকল কি না। সামনেই কালীপুজো। তাতে আরও মদ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে যাতে কোনও ভেজাল-অভিযোগ না ওঠে, আগে থেকেই সে বিষয়ে সতর্ক রাজ্য।