ভোটের আবহে ফের সরগরম দেশের রাজনৈতিক আবহ। কয়েকদিন পরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চলেছেন রেলকর্মীরা। এই আন্দোলনের প্রস্তুতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে কেন্দ্র। ১৩ দফা দাবিতে পথে নামছেন রেলকর্মীদের একাংশ। মোদী সরকারকে আর এক মুহূর্ত সময়ও দিতে নারাজ তাঁরা। আগামী সপ্তাহেই এই ইস্যুতে নির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে ঠিক করেছেন রেলকর্মীরা। তাঁদের দাবি, পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও ট্র্যাক-ম্যানের রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে, তাঁকে ‘শহিদে’র মর্যাদা দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘এক্সগ্রাসিয়া’র পরিমাণ ২৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ টাকা করতে হবে। আন্দোলন রুখতে চলতি সপ্তাহেই আন্দোলনকারী রেলকর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে পারে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ভোটের প্রাকলগ্নে কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ যাতে মোদী বিরোধিতায় আন্দোলনে না নামে, তা ঠেকাতে তড়িঘড়ি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইছে সরকার। আগামী ৬ই নভেম্বর মোদী-বিরোধী প্রচার শুরু করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ১৩ দফা দাবিতে বলা হচ্ছে, কোনওমতেই পুরনো পেনশন ব্যবস্থা বন্ধ করে নয়া পেনশন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত মানা হবে না। পুরনো পেনশন ব্যবস্থাই বহাল রাখতে হবে। করোনাপর্বে যে মহার্ঘভাতা ‘ফ্রিজ’ করেছিল মোদী সরকার, তা ফেরাতে হবে। ট্র্যাক-ম্যান-সহ কর্মচারীরা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত। তাঁদের জন্য অবিলম্বে রিস্ক-অ্যালাউন্সের ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানানো হচ্ছে। সমস্ত রেলকর্মীর বাবা-মাকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার দাবিও রয়েছে। পদোন্নতি সংক্রান্ত ক্যালেন্ডার তৈরি করে সেইমতো কর্মীদের পদোন্নতি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন রেলকর্মীরা।