বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন দেশজুড়ে। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছে পদ্মশিবির। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে তারা। এই অঞ্চলগুলি থেকে বেশি সংখ্যক লোকসভাবার আসন জেতার জন্য তারা নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। সেইমতো জঙ্গলমহলকে নতুন করে উত্তপ্ত করতে চাইছে বিজেপি। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে বিতর্কের। জঙ্গলমহলের দুই সম্প্রদায়ের মানুষকে আন্দলনমুখী করতে চাইছে পদ্মশিবির। এই দুই সম্প্রদায় হল আদিবাসী ভূমিজ এবং সদগোপ সমাজ। দুই শিবিরই কালীপুজোর আগে ঝাড়গ্রাম জেলায় তাঁদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যা নিয়ে প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শাসক দলের নেতাদের ধারণা, এই কর্মসূচির আড়ালে আদতে লোকসভা ভোটের আগে কুড়মি আন্দোলনের মতোই নয়া আন্দোলন শুরু করিয়ে জঙ্গলমহলের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার ঝাড়গ্রামে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ভারতীয় আদিবাসী ভূমিজ সমাজ। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী উন্নয়ন সমবায় নিগমের ঝাড়গ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়েও ওই দিন তালা ঝোলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি। আবার পশ্চিমবঙ্গ সদগোপ সমাজের তরফে আগামী ৫ নভেম্বর গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ির একটি অতিথিশালায় তাঁদের জেলা সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সদগোপ সমাজের আন্দোলন সংগঠিত করার দায়িত্বে রয়েছেন অবনী ঘোষ। যিনি বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। ফলত উঠছে নানান প্রশ্ন।