গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। গাজা থেকে মিনিট কুড়ির মধ্যে ছোঁড়া হয় ৫ হাজার রকেট। এর পরই জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল সরকার। সেই যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। গাজা ভূখণ্ডে আক্রমণের ধার এবং ভার দুইই ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে ইজরায়েলি সেনা। এবার যেমন তাদের পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে উত্তর গাজার সবচেয়ে বড় জাবালিয়া শরণার্থী শিবির নিমেষের মধ্যে শ্মশানে পরিণত হল। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের দাবি, ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েল হামলার সঙ্গে যুক্ত ইব্রাহিম বিয়ারি নামে হামাসের এক উচ্চপদস্থ কম্যান্ডারকে হত্যার উদ্দেশেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে শরণার্থী শিবিরে হামলা করা হয়। হামাস চালিত গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জন মারা গিয়েছেন। ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার হঠাৎ সাত থেকে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়ে শরণার্থী শিবিরে। এর ফলে উপস্থিত শরণার্থীদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। মহম্মদ ইব্রাহিম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, ‘আমি পাউরুটি কিনব বলে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ দেখি কোনও রকম সতর্কতা ছাড়াই সাত-আটটি ক্ষেপণাস্ত্র শিবিরে এসে পড়ল। আমার পরিবারের সদস্যরা ওই শিবিরেই ছিল। ভয় পেয়ে আমি ছুটে যাই। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখলাম, সবই ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। চারদিকে মৃতদেহ ছড়িয়ে রয়েছে।’ তিনি জানান, ‘শিবিরে যত জন বাচ্চা ছিল, তারা খেলাধুলার জন্য এ দিক-ও দিক ছড়িয়েছিল। তার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।’ ইব্রাহিমের সংযোজন, ‘শিবিরে পৌঁছে আমি এমন দৃশ্যও দেখেছি যে, শিশুরা অন্য আহত শিশুদের কোলে করে ছুটে যাচ্ছে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চোখেমুখে ভয় নিয়ে ছুটছে সকলে।’ বিস্ফোরণের ফলে শিবিরের কয়েকটি জায়গায় মাটিতে একাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে বলে তাঁর দাবি।