ঋণ করে সামান্য কিছু জমি কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঋণই যে কাঁটার মতো গলায় চেপে বসবে তা কে জানত! যোগী রাজ্যের আলিগড়ে ঋণের টাকা শোধ করতে ছেলেকে বিক্রি করার জন্য রাস্তায় বসলেন বাবা। ফুটপাথে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বাবা বসে আছেন। প্ল্যাকার্ডে হিন্দিতে অপটু হাতে লেখা। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘ছেলে বিক্রি আছে। আমি আমার ছেলেকে বিক্রি করতে চাই।’ এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় পুলিশ। কিন্তু বড্ড দেরি হয়ে গেল না? প্রশ্ন সমাজমাধ্যমের।
আলিগড়ের ই-রিক্সা চালক রাজকুমার। দারিদ্রের সঙ্গে নিত্য সংঘর্ষই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ই-রিক্সাটিই রোজগারের এক মাত্র উপায়। সেই রাজকুমারই নিজের ছেলেকে বিক্রি করতে ফুটপাথে বসেছেন। ৫ লক্ষ-৬ লক্ষ— যে যা দিতে চায়, ছেলেকে সেই দামেই বিক্রি করতে রাজি রাজকুমার। কিন্তু কেন ছেলে বিক্রি করতে হচ্ছে রাজকুমারকে?
সূত্রের খবর, ছোট্ট একটি জমি কেনার জন্য স্থানীয় মহাজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ করেছিলেন রাজকুমার। কিন্তু অভিযোগ, ওই মহাজন এমন কলকাঠি নাড়েন, রাজকুমার জমি কিনতে পারেননি। ঋণ করা টাকাও জলে যায় রাজকুমারের। ঋণের দায়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজকুমার। অন্য দিকে, মহাজন টাকা তুলতে অত্যাচার শুরু করেন। রাজকুমারের অভিযোগ, একাধিক বার তাঁর পরিবারকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে করা হয়েছে মারধরও। এমনকি টাকা না পেয়ে রাজকুমারের ই-রিক্সাটিও মহাজন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সব হারিয়ে অসহায় রাজকুমার স্থির করেন, নিজের ছেলেকেই বিক্রি করে দেবেন। সেই অনুযায়ী, প্ল্যাকার্ড লিখে ফুটপাথে বসে পড়েন স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে।