সংরক্ষণ ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র। সোমবার দুপুরেই বিক্ষোভকারীদের রোষের কবলে পড়েছেন এনসিপি-র দুই বিধায়ক। এবার ইস্তফা দিলেন শিবসেনার দুই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত, নাসিক ও হিনগোলির দুই সাংসদ এদিনই তাঁদের পদে ইস্তফা দিয়েছেন।
হিনগোলির সাংসদ হেমন্ত পাটিল এদিন লোকসভার সচিবালয়ে তাঁর ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে পাটিল বলেন, লোকসভার স্পিকার অফিসে ছিলেন না। অফিসের সেক্রেটারির কাছে আমার ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি। অন্যদিকে, নাসিকের সাংসদ হেমন্ত গডসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মারাঠাদের সংরক্ষণের দাবিকে সমর্থন জানিয়েই এদিন সাংসদ পদে ইস্তফা দেন একনাথ শিন্ডে ঘনিষ্ঠ নেতা হেমন্ত পাটিল ও হেমন্ত গডসে। পাটিল পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে মারাঠা ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত রয়েছে। এই সম্প্রদায়ের একজন কর্মী হিসাবে আমি মারাঠা সংরক্ষণের আন্দোলনের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন জানাই এবং তাই আমি পদত্যাগ করছি’।
আবার হেমন্ত গডসে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ‘মারাঠা সম্প্রদায়কে সংরক্ষণের জন্য দশেরার সমাবেশে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের আবক্ষ মূর্তির সামনে আপনি শপথ নেওয়ার পর মারাঠা সম্প্রদায়ের সদস্যরা আশ্বস্ত বোধ করেছিলেন’। কিন্তু, তাঁর সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ইস্যু নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ গডসের। এদিকে, সংরক্ষণের দাবিতে মনোজ জারাঙ্গে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন তাঁর অনশন ৬ দিনে পড়ল এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। তাই মারাঠা সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ অনুভূতি থেকে তিনি সংসদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন বলে জানিয়েছেন গডসে।