এবার আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডার সাসপেনশন নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ শীর্ষ আদালত। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্যবেক্ষণ, রাজ্যসভা থেকে বিরোধীদলের সাংসদকে সাসপেন্ড জরুরি বিষয়। এমনকী, সংসদের স্বাধিকার রক্ষা (প্রিভিলেজ) কমিটি কোনও সদস্যকে (সাংসদ) অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক ভাবে প্রশ্ন করে, ‘‘কোনও সাংসদ যেখানকার প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁর উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত কি সেই এলাকার জনগণের উপর প্রভাব ফেলবে না? তা ছাড়া, কোনও সদস্যকে (সাংসদ) অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার ক্ষমতা কি প্রিভিলেজ কমিটির আছে?’’ প্রসঙ্গত, সই জালিয়াতির অভিযোগে শাস্তি পেতে হয় রাজ্যসভার আপ সাংসদকে। চাড্ডার বিরুদ্ধে সই জালিয়াতির অভিযোগ আনেন রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদ। একটি বিল সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য চাড্ডা পাঁচ সাংসদের সই নকল করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ব্যাপারে চাড্ডার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকরের কাছে আবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উল্লেখ্য, গত ১১ই আগস্ট সাসপেন্ড হন চাড্ডা। যদিও প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন আপের ওই রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে চাড্ডা অভিযোগ করেন, সংবিধানের অবমাননা হচ্ছে। মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। সাসপেন্ড হওয়ার সময় চড্ডা জানান, এর ফলে তিনি অর্থ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এবং তার অধীনস্থ আইন সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। তিনি দাবি করেন, কোনও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চলতি বছর সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ ঘণ্টায় তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে তারা সাংসদের কাছে জানতে চাইবেন তিনি তাঁর কাজের জন্য ক্ষমা চাইবেন কি না এবং রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন তা গ্রহণ করতে রাজি কি না। তার পর আইন আইনের পথে হাঁটবে। এ নিয়ে চড্ডার আইনজীবী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী রবিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।