আইফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক রাজার কাহিনি শোনালেন রাহুল গান্ধী। তবে সেই ‘রাজকাহিনি’ বদলে গেল ‘তোতাকাহিনি’তে। রাহুল বললেন, রাজার প্রাণভোমরা লুকিয়ে ছিল তোতাপাখির মধ্যে। এখানেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাণভোমরা রয়েছে আদানি নামের তোতাপাখির মধ্যে।
রাজা এবং তোতাপাখির গল্প শুনিয়ে রাহুল বললেন, বিরোধীরা এত দিন ভুল নিশানায় আক্রমণ করছিলেন। তাঁরা ‘রাজা’ অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু রাহুলের বক্তব্য, ‘রাজা তো রাজা নন। তাঁর হাতে ক্ষমতাই নেই। তাঁর ক্ষমতা লুকিয়ে রাখা আছে আদানির মধ্যে। সেইখানে আক্রমণ শানাতেই বিপদঘণ্টি বেজেছে। তাই এই সমস্ত গোলমাল করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
রাহুল বললেন, ‘এই সমস্ত ফোন হ্যাকিংয়ের চেষ্টা, ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর কারণ আসলে আদানি। কারণ বিরোধীরা এখন সঠিক জায়গায় তির তাক করছে। দেশের রাজনীতির গোপন সত্য বুঝতে পেরেছে বিরোধীরা। রাজার তোতাকে ছোঁয়া হয়েছে। আর তার জন্যই এই হ্যাকিং, আড়ি পাতা আর ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা।’
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল বললেন, ‘এত দিন আপনারা কী জানতেন? ভারতের নম্বর ওয়ান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নম্বর টু অমিত শাহ। তাই তো? কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়। ভারতের নম্বর ওয়ান আসলে আদানি। মোদী নম্বর টু। নম্বর থ্রি হচ্ছেন শাহ।’ রাহুল জানালেন দেশের রাজনীতির নিউক্লিয়াসটি কোথায় তা তিনি বুঝতে পেরেছেন।