বেশ কয়েকবছর হল, একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবার নামফলক নিয়ে তৈরি হয়েছে তোলপাড়। সেখানে নেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে একাধিক মহলে। ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিতর্কিত ফলক সরিয়ে ফেলার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বেঁধে দিয়েছিলেন সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। তাতেও কাজ হয়নি। এবার সরাসরি কেন্দ্রের কাছে ওই ফলক সরানোর দাবি জানালেন মমতা। এই আত্মপ্রচারমূলক নামফলক সরিয়ে ফেলাই কেন্দ্রের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলেই মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে ফের ওই নামফলক নিয়ে সরব হন মমতা। লেখেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন বিশ্বের কাছে ঐতিহ্যবাহী স্থান। সেখানকার বর্তমান কর্তৃপক্ষ যে স্মারকফলক সাজিয়েছে, সেখানে উপাচার্যের নাম দেখা গেলেও কবিগুরুর নাম দেখা যাচ্ছে না। এতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে। অবিলম্বে এই আত্মপ্রচারমূলক ফলক সরিয়ে কবিগুরুকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হোক। কেন্দ্রের জন্য সেটাই বুদ্ধিমানের মতো পদক্ষেপ হবে।” উল্লেখ্য, গত মাসেই শান্তিনিকেতনের মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। তাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। আর ইউনেস্কোর হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথেরই নাম! অথচ সেখানে লেখা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। আর এতে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষে ফেটে পড়েছে শান্তিনিকেতনবাসী। এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।