আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতিকে কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরেছে তারা। বহুদিন ধরেই বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়ার সুপরিকল্পিত ছক এই নীতি। এসবের মধ্যেই সামনে আসছে নতুন একটি তথ্য। জানা যাচ্ছে, দেশের সমস্ত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনকেই ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশনের আওতায় নিয়ে আসার ইচ্ছা মোদী সরকারের। অর্থাৎ পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনও হবে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সঙ্গে। যা ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
প্রসঙ্গত, বুধবার রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বৈঠকে করে আইন কমিশনের সঙ্গে। সেখানেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইন কমিশনের সুপারিশ ও প্রস্তাব, ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সর্বশেষ সময়সীমা হিসেবে ধার্য করা হোক। অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর যত বিধানসভা, পুরসভা, পঞ্চায়েত ভোট হবে, সেগুলির মাধ্যমে গঠিত বোর্ড অথবা সরকারের মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে এমনভাবে ধার্য করা হোক, যাতে প্রত্যেক নির্বাচনই ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটের সঙ্গেই করে ফেলা যায়। এই বৈঠকের পর ইতিমধ্যেই ৬টি জাতীয় দল এবং ৩৩টি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ডাকা হবে বৈঠকে। ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে মোদী সরকার এতটাই আগ্রহী যে, আইন কমিশন চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার আগেই তৈরি হয়েছে নতুন কমিটি। যার নেতৃত্বে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলত, ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ যে কার্যকর হবেই, সেই সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই আঁচ করা যাচ্ছে।