কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে জনগণের নির্ধারিত রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গদি দখল করাকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র একের পর এক রাজ্যে এভাবেই সরকার গড়েছে পদ্মশিবির। এবার তারা টার্গেট করেছে কর্ণাটককে। এক, একজন বিধায়কের দাম হাঁকানো হচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা! পাশাপাশি রয়েছে মন্ত্রিত্বের টোপ। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসলেই মিলবে এগুলি। কর্ণাটকে বিধানসভা ভোটে হারার কয়েক মাসের মধ্যেই ‘অপারেশন লোটাস’-র চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি। গদি দখলের উদ্দেশ্যে লোভনীয় অফার নিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে যাচ্ছে বিজেপি, জানা যাচ্ছে এমনটাই। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে উত্তাল দক্ষিণের রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, বিজেপির এহেন কৌশলের কথা প্রথম প্রকাশ্যে এনেছেন কর্ণাটকের মান্ড্য বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক রবিকুমার গৌড়া। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি সরাসরি বলেছেন, বিজেপি তাদের প্রিয় খেলা, অপারেশন লোটাসে ফের নেমেছে। জয়ী দলের বিধায়ক কিনে নিয়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ায় অভ্যস্ত ওরা। চারজন কংগ্রেস বিধায়কের কাছে দলবদলের অফার গিয়েছে বলেও জানান তিনি। তাতে লাভ হবে না বলেই দাবি তাঁর। অন্যদিকে, কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরেই চালানো হবে ‘অপারেশন হস্ত’। রবিকুমার গৌড়া জানিয়েছেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের দুই শীর্ষ নেতা ও রাজ্যের এক পদাধিকারী অপারেশনের চালিকাশক্তি। উল্লেখ্য, তিনজনের টিমই ২০১৯ সালে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট সরকারের পতনে কারিগরের ভূমিকা নিয়েছিলেন। উপ মুখ্যমন্ত্রী শিবকুমারের দাবি, বিজেপির ওই তিন নেতা জানেনই না যে, গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। অন্যদিকে, অভিযোগের প্রমাণ হাতে রয়েছে বলেই দাবি মান্ড্যর বিধায়ক রবিকুমারের। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সর্বসমক্ষে আনা হবে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। দলবদলের প্রস্তাব নিয়ে আসা ফোনের কলরেকর্ডও রয়েছে কংগ্রেস বিধায়কদের কাছে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে সূত্র।