সুকুমার রায় লিখেছিলেন, “শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইনকানুন সর্বনেশে”। মোদী জমানায় এরই বাস্তবায়ন দেখছে দেশ। এবার যেমন সরকারি নির্মাণকাজে প্রাচীন বাস্তুশাস্ত্রের প্রয়োগে তৎপর হল মোদী সরকার। আগামী নভেম্বরে একটি বিশেষ ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করতে চলেছে সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট।
সাধারণভাবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্মাণেশৈলীর বিকাশই বাস্তুর মূল সূত্র। তবে আধুনিক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে বাস্তুর সেতুবন্ধন কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই সন্দিহান। সরকারি সূত্রে খবর, সিপিডব্লিউডি আগামী ৭ নভেম্বর অনলাইনে ওয়ার্কশপ-সেমিনারের আয়োজন করেছে। ‘বাস্তুর অন্তর্নিহিত দর্শন, গুরুত্ব ও গৃহ-নকশা রচনায় এর প্রয়োগ’ শীর্ষক সেই কর্মশালায় যে-সব সরকারি স্থপতি যোগ দিতে চান, তাঁদের অবিলম্বে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
এই কর্মশালায় বাস্তুশাস্ত্রের সূত্র মেনে জমি, বায়ু, জল, অগ্নি বা অন্তরীক্ষ থেকে শক্তি আহরণের মধ্যে দিয়ে নির্মাণের কাজ শক্তপোক্ত, দীর্ঘস্থায়ী ও মানুষের জীবনের পক্ষে স্বাস্থ্যকর কতটা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে। বাস্তুতে নির্মাণশেলীর প্রকারভেদে গৃহস্থের জীবনচর্যায় শুভশক্তির আবাহনের ওপরেও জোর দেওয়া হবে। যদিও নির্মাণের সঙ্গে শুভ বা অশুভ শক্তির নির্যাস মেশানোটা আদতে কতটা নিরাপদ ও বিজ্ঞানসম্মত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ বাস্তুর সূত্রগুলির নির্ধারণ হয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষার ভিত্তিতে নয়, মূলত বিশ্বাসের ভিত্তিতে।