শুক্রবার সকালের মধ্যে বিশ্বভারতীর ফলকে ফিরিয়ে আনতে হবে রবি ঠাকুরের নাম। তা না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তেমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মতোই শুক্রবার সকালে বিশ্বভারতী চত্বরে ধর্না মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করে দিল তৃণমূল। শুক্রবার থেকেই শাসক দলের নেতৃত্বরা বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে কবিগুরু মার্কেটে ধর্না শুরু করবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য যে, বিশ্বভারতীকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক বিতর্ক। বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে বসানো ফলককে কেন্দ্র করেও। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র ঘোষণার পর গত ১৯ অক্টোবর এই স্বীকৃতির একটি ফলক বসানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
বিশ্বভারতীর তরফে উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে শ্বেত পাথরের যে ফলক বসানো হয়েছে, তাতে লেখা, ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার ঠিক নীচে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদী এবং বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। কিন্তু নাম নেই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথের। আর সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনী এবং শিক্ষকদের একাংশ এই ফলক দেখে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। অনেকের দাবি, এমন ঘটনা বিশ্বভারতীতে বেনজির। কারণ, সেখানকার প্রথা অনুযায়ী কোনও উদ্বোধনী ফলক বা স্বীকৃতি ফলকে সাধারণত কারও নাম উল্লেখ করা হয় না।