নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বারবার প্রকাশ্যে এসেছে দেশের কর্মসংস্থানের বেহাল পরিস্থিতি। ক্রমশ বেড়েছে বেকারত্বের হার। এবার ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চে পৌঁছে গিয়েছে তা। অতিসম্প্রতিই বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভুটানের চেয়েও ভারতে বেকারত্বের হার বেশি। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে কর্মহীন ২৩.২২ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভাল, সেখানে বেকারত্বের হার ১১.৩ শতাংশ। বাংলাদেশে হার ১২.৯ শতাংশ ও ভুটানে ১৪.৪ শতাংশ। বেকারত্বের নিরিখে ভারতের কাছাকাছি সিরিয়া, সেখানে বেকারত্বের হার ২২.১ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ভারতের তুলনায় ভাল অবস্থানে রয়েছে চীন (১৩.২ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (১৩ শতাংশ), মালয়েশিয়া (১১.৭ শতাংশ), ভিয়েতনাম (৭.৪ শতাংশ), সিঙ্গাপুর (৬.১ শতাংশ)। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন ইন্টারন্যশনাল লেবার অর্গানাইজেশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। প্রধানত ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা থেকে বেকারত্বের হার প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক। লোকনীতি-সিএসডিএসের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, যুব সম্প্রদায়ের ৩৬ শতাংশ মনে করেছেন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব। বিরোধীরা আক্রমণ শানিয়ে বলছেন, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে বছরে ২ কোটি চাকরির গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি একেবারেই।